গতকালকের ফেসবুকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো রঙ্গীন প্রোফাইল পিকচার! খুব সম্ভবত আমেরিকায় গে, লেসবিয়ান ইত্যাদি যারা তাদের বিয়ে করবার লাইসেন্স দিয়েছে, এবং সেই উপলক্ষ্যে আমাদের প্রিয় ফেসবুকের জনক মার্ক মামায় তার প্রোফাইল পিকচার রঙ্গীন করেছেন, সাথে সাথে সবাইকে সহজেই সেটা করবার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরাও আমজনতা ঝাপায় পড়ছি সেই আনন্দে প্রোফাইল পিকচার রঙ্গীন করতে।
ব্যাস! আর যায় কই চারিদিক রঙ্গীন হয়ে ওঠা শুরু। সে যে কি হিড়িক, তা আর বোঝানো যায় না। এরই মধ্যে কয়েজকন ভাই মূল বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসলেন; তারা জানালেন যে এই কালার করা হচ্ছে গে/লেসবিয়ান বিয়ের অধিকার নিয়ে। অমনি শুরু হলো উইকির লিংক বিতরণ। সে আর এক হিড়িক। একজন প্রোফাইল পিকচার রঙ্গীন করেছে তো এক’শ জন সেটাকে ভূল প্রমানে ঝাপিয়ে পড়েছে। এর পর শুরু হলো কিছু লোকের উচ্চ স্বরে বলা যে তারা এই জিনিষ জানে। সে আর এক হিড়িক, অনেকেই বড়ভাই করতেছে দেখে বুঝে না বুঝে এই কথা লেখা শুরু করলো।
এরপর আসলো স্ট্যাটাস ট্রেন্ড; এরা আরও একধাপ এগিয়ে। ‘গে রাইট’ কি, কেন এইটা খারাপ, এইটা করলে কি সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে তারা মহা উৎসাহী। তারা লিখে, আর অন্যের প্রোফাইল পিকচারে সেইটা মারে। সে আর এক ট্রেন্ড। এই ট্রেন্ডের সাথে সাথে আরও একটা স্ট্যাটাস ট্রেন্ড আসলো। সেইটা হইলো “আমার প্রোফাইলের সব গে বাইর হও” টাইপ স্ট্যাটাস। এরা মহা উৎসাহে লাল গোলাপী প্রো-পিক ওয়ালা লোকদের নিজ প্রোফাইল থেকে ঘ্যাচাং করে কেটে দিতে থাকলো।
তবে এনারা এক কাঠি বেশী সরেস; এনারা খুঁজে খুঁজে খালি অপ্রয়োজনীয় লোকদেরই আনফ্রেন্ড করতেছেন; কিন্তু নিজের থেকে গুরুত্বপূর্ণ লোকদের ক্ষেত্রে কিচ্ছু বলেন না। এনারা মোটামুটি ছুপারুস্তম টাইপ দেখিয়াও না দেখার ভান করে আছেন।
তবে এই পর্যন্ত যে কয়টা লেখা বা স্ট্যাটাস পড়েছি, তার মধ্যে সব থেকে মজার ছিলো শ্রদ্ধেয় সাজ্জাত ভাই এর স্ট্যাটাস দুইটি। যেগুলি নিচে দেওয়া হলোঃ
“রূপবান” নামে একটা পত্রিকা বা কমিউনিটি জাতীয় কি জানি আছে না ? তারা আজকে ফেসবুক থেকে খুব সহজেই তাদের কাস্টোমার সেগমেন্টেশ…
Posted by Sajjat Hossain on Saturday, June 27, 2015
রাজা কহিলেন – এই, কে আছিস ? প্রোফাইল পিকচার রঙিন করিয়াছে এমন সবাইকে ধরিয়া আন।উজির হাঁকিলেন – সিপাহী !সিপাহী কহিলেন – জ…
Posted by Sajjat Hossain on Saturday, June 27, 2015
আমার মতামতঃ
আমার মতামত কিছুটা সহজ; যে যেমন আছে থাকতে দাও; তুমি তোমার পরিচিত জনদের একটু সাবধান করবার চেষ্টা করো, না পারলে থামো। বাড়াবাড়ি কইরো না। ইসলামে এই ধরণের বিয়ে হারাম, সেই হিসাবে এই ধরণের বিয়ে কোন দেশে আইন সম্মত করা হলে সেটা সাপোর্ট করাও হারাম। আর যে এটা করবে সে ইসলামের নিয়মের বাইরে গেলো। ব্যাস, তাকে আপনি সাবধান করতে পারেন, কিন্তু বাড়াবাড়ি করতে পারেন না। অবশ্য আমাদের মধ্যে এখন একটা কথা ঢুকে গেছে, “মডারেট মুসলিম”, এরা নামে মুসলিম; উৎসবে মুসলিম, কিন্তু কাজ কামে অন্য সব কিছু ফলো করে। এরা যেমন পুজাতেও যায়, বড় বড় মুর্তি নিয়ে রাস্তায় র্যালিতেও যায়, দুই চার পেগ মদও খায় আবার রোজাও রাখে, ঈদও পালন করে। মুসলমান কে, এই প্রশ্নের উত্তরে যেই কথাগুলি আসে তার একটি হলো আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণ রূপে আত্মসমার্পন করা; অর্থাৎ তার সকল কথাকে নির্দিধায় মেনে নেওয়া। কিন্তু এই “মডারেট মুসলিম”রা সেটা করতে নারাজ। তারা নামে মুসলিম থাকতে চায়, কামে আধুনিক থাকতে চায়। তাদের বিষয়ে আল্লাহই ভালো জানেন। আমি নিজেই ভুলত্রুটিতে ভরা, আমি তাদের ভুল না ধরি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক, সুন্দর ও সত্যের পথ দেখান, আমিন।
বোঙ্গা বোঙ্গা ভাল্লাগছে!
[…] আর একটি উদাহরণ। আইস-বাকেট চ্যালেঞ্জ, লাল-গোলাপী প্রোফাইল পিকচার, Year in review সহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা কপি পেষ্ট […]